ইসরায়েলের ইরান অভিযানে মধ্যপ্রাচ্যে নতুন যুদ্ধের আশঙ্কা
ইরানের প্রতিরক্ষা বাহিনী দাবি করেছে, আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার মাধ্যমে তারা বেশ কিছু ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র গুলি করে ভূপাতিত করেছে। তবে ক্ষয়ক্ষতির প্রকৃত পরিমাণ এখনও স্পষ্ট নয়।
বিশ্ব গণমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ইসরায়েলের আঘাতের প্রধান লক্ষ্য ছিল ইরানের পরমাণু গবেষণা ও সামরিক ঘাঁটিগুলো। যদিও ইরান বলছে, তাদের পারমাণবিক স্থাপনায় কোনো বড় ধরনের ক্ষতি হয়নি।https://www.profitableratecpm.com/hzvbvzbd6?key=16a19ee1ccf3297f489cf7af1f0bf92c
তবে কিছু বিশ্লেষক বলছেন, ইসরায়েল চায় ইরান যেন পরমাণু অস্ত্র অর্জনের পথে আর না বাড়ে। সেই কারণেই তাদের লক্ষ্যবস্তু ছিল নাতাঞ্জ ও ফোরদোর মতো স্থাপনা।
হামলার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের কোনো সম্পৃক্ততা নেই বলে জানিয়েছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, “এই হামলায় আমরা কোনোভাবেই জড়িত নই। তবে আমাদের ঘাঁটি বা সেনাদের ওপর ইরান হামলা চালালে আমরা চুপ থাকবো না।”https://www.profitableratecpm.com/zjbtjrghh?key=d4b1216fc90584ec68b86e1d7682922d
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্প্রতি বলেছিলেন, ওয়াশিংটন তেহরানের সঙ্গে কূটনৈতিক পথে আগাতে চায়। কিন্তু এই হামলার পর কূটনৈতিক চেষ্টাগুলো মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিশ্লেষকরা।
আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া: জাতিসংঘ মহাসচিব সংঘাতের দ্রুত অবসান চান, বলেছেন “মধ্যপ্রাচ্যে আরেকটি পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধ মানবিক বিপর্যয় ডেকে আনবে”।
রাশিয়া ও চীন ইসরায়েলের হামলার সমালোচনা করে একে আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন বলেছে।
সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত এখনো সরাসরি কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি তবে কূটনৈতিকভাবে উত্তেজনা হ্রাসে আহ্বান জানিয়েছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, এই হামলা কেবল ইসরায়েল-ইরান দ্বন্দ্ব নয়, বরং গোটা মধ্যপ্রাচ্যের নিরাপত্তাকে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলেছে। যদি ইরান পাল্টা হামলা করে, তবে সেটি সিরিয়া, ইরাক কিংবা লেবাননের মাধ্যমে আসতে পারে। হিজবুল্লাহ বা অন্যান্য প্রক্সি গোষ্ঠীগুলোর মাধ্যমেও ইসরায়েলের অভ্যন্তরে হামলার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।https://www.profitableratecpm.com/ssx7tpby9q?key=cc619d5b9b5fdf13263bd1b0fbeac529
বর্তমান পরিস্থিতি অত্যন্ত উত্তেজনাপূর্ণ। বিশ্বের শক্তিধর দেশগুলোকে দায়িত্বশীল ভূমিকা নিতে হবে—অন্যথায় এই সংঘাত একটি পূর্ণাঙ্গ আঞ্চলিক যুদ্ধের রূপ নিতে পারে।
ইরান-ইসরায়েল সংঘাত: পটভূমি ও ভবিষ্যৎ
২০১০ সাল থেকে ইসরায়েল বারবার ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচিকে হুমকি হিসেবে উল্লেখ করে আসছে।
২০২0 সালে ইরানি পারমাণবিক বিজ্ঞানী মোহসেন ফাখরিজাদেহ হত্যায় ইসরায়েলের হাত রয়েছে বলে দাবি করে তেহরান।https://www.profitableratecpm.com/x6vmny3s52?key=67ba23f3873041ca5eb944b44c57b78c
গত এক দশকে মধ্যপ্রাচ্যের নানা দেশে ইরান ও ইসরায়েলের ছায়াযুদ্ধ চলছে—বিশেষত সিরিয়া ও লেবাননে।
Post a Comment